আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: ‘এই হেমন্তে কাটা হবে ধান; আবার শূন্য গোলায় ডাকবে ফসলের বান’- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার এই পংক্তি হেমন্তের বাংলার চিরচেনা রূপ। ‘নবান্ন’ হচ্ছে হেমন্তের প্রাণ। যদিও বাঙালির ‘নবান্নের’ উৎসব শুরু হয় পয়লা অগ্রহায়ণ থেকেই। তবে এখন আর অগ্রহায়ণের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ায় হেমন্ত ঋতু শুরুর আগে থেকেই নবান্নের ঘ্রাণে মুখরিত হয়ে উঠেছে লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বাতাসে।
আমন খেতে হালকা শীতল বাতাসে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। কোনো খেতে ধানের শীষ বের হয়েছে। আবার কোনো কোনো খেতে ধানের শীষে কাঁচা-সোনা রং ধরেছে। ছড়াচ্ছে আমনের ঘ্রাণ।
কোথাও কোথাও পুরোদমে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক-কৃষাণীরা। তবে কৃষকরা আগাম জাতের আমন ধান আবাদ করায় মধ্য আশ্বিন থেকেই ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছে। ব্রি-৩৪, ১১ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ করেন।